একটি অসাধারন কয়েন । কয়েনের দাম প্রায় 5 কোটি টাকা।
এক অসাধারণ কয়েনের (The most expensive coin) গল্প । একদিন, একটা সাধারণ কয়েনের দাম ৪ কোটি টাকারও বেশি হয়ে গেল! কীভাবে?
এত টাকার কয়েন কেন কেউ কিনবে? The most expensive coin.
আসলে, এই কয়েনটি একদম সাধারণ ছিল না। এটি ছিল একটি ডাইম, আমেরিকার এক টাকার মতো একটা কয়েন। কিন্তু এই ডাইমটির একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল, যা এটিকে অত্যন্ত মূল্যবান করে তুলেছিল।
৪৬ বছর আগে তৈরি এই ডাইমটি সান ফ্রানসিসকো টাঁকশাল থেকে এসেছিল। সাধারণত এই টাঁকশালের ডাইমগুলোতে ‘এস’ চিহ্ন থাকে। কিন্তু এই ডাইমটিতে কোনো ‘এস’ চিহ্ন ছিল না। এই একটা ছোট্ট চিহ্নের অভাবেই এই ডাইমটি বিরলতম মুদ্রাগুলোর একটি হয়ে উঠল।
কল্পনা করুন, একটা ছোট্ট চিহ্নের জন্য একটা কয়েনের দাম কতটা বাড়তে পারে! এই ডাইমটির ক্ষেত্রে তাই হয়েছিল। কয়েন সংগ্রহকারীরা সবসময় বিরল মুদ্রা খুঁজে থাকেন। তাদের কাছে এই ডাইমটি একটা খুব মূল্যবান জিনিস ছিল। তাই যখন এই ডাইমটি নিলামে উঠল, তখন সংগ্রাহকরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে শুরু করল। তারা এত দাম দিতে রাজি হল যে, অবশেষে ডাইমটির দাম ৫ লক্ষ ৬ হাজার ২৫০ ডলারে দাঁড়ালো!
কেন এত দাম? The most expensive coin
আপনি হয়তো ভাবছেন, কেন কেউ একটা ছোট্ট চিহ্নের জন্য এত টাকা খরচ করবে? কারণ, এই ডাইমটি আর কখনো পাওয়া যাবে না। এটি একটা ইতিহাস, একটা বিরলতা। যেমন একটা বিশেষ ধরনের পাথরের টুকরো যদি পৃথিবীতে আর না থাকে, তাহলে সেটা অনেক দামী হয়ে যায়। এই ডাইমটিও ঠিক তেমনই।
একটি গল্প . The most expensive coin
এই ঘটনা শুনে আমাদের মনে হয়, আমাদের চারপাশে অনেক কিছুই আছে যার মূল্য আমরা জানি না। হয়তো আমাদের পকেটে থাকা পুরানো একটা কয়েনও কোনোদিন অনেক দামী হয়ে উঠতে পারে। কে জানে!
আপনার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ
এবার আপনার বাড়িতে গিয়ে দেখুন, হয়তো আপনার কাছেও কোনো পুরানো, বিশেষ কয়েন আছে। হয়তো সেটা কোনোদিন আপনার জন্য একটা বড় অবাক করা সюрприজ নিয়ে আসবে।
শেষ কথা . The most expensive coin
এই গল্পটি আমাদের শিখিয়েছে যে, কখনো কখনো ছোট্ট একটা বিষয় একটি সাধারণ জিনিসকে অত্যন্ত মূল্যবান করে তুলতে পারে। আর কয়েন সংগ্রহকারীদের কাছে বিরল মুদ্রা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাও আমরা এই ঘটনার মাধ্যমে জানতে পারলাম।
https://www.facebook.com/Marufhasan6250